চান্দিনা উপজেলার আয়তন ২০১.৯২ বর্গ কিলোমিটার এবং লোকসংখ্যা ৩,৫৮,৮২০ জন। এখানে থানা সদর দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৬ সালে। চান্দিনা উপজেলার নামকরণ নিয়ে কিংবদন্তি চালু আছে। ১৬৭৫ সালে মির্জা হোসেন আলী খাঁ মোঘল সুবাদার নিযুক্ত হওয়ার পর বর্তমান চান্দিনায় সদর দপ্তর স্থাপন করেন বলে জানা যায়। তখন এ স্থানের নাম ছিল ‘বরকামতা’। এ স্থানটি জঙ্গলাকীর্ণ ছিল বলে বাঘের ভয়ে সবাই আতঙ্কগ্রস্থ থাকতো। সুবাদার হোসেন আলী খাঁ তাঁর মহলের সম্মুখে বাঘতে ভয় দেখানের জন্য একটি উঁচু স্থানে উজ্জ্বল গ্যাসের বাতি জ্বলাতেন। তখন হতে লোকজন এ স্থানটিকে ‘চাঁদনী’ বা ‘চাঁদের আলোর মতো স্থান’ বলে আখ্যায়িত করতো। পরবর্তীতে ইংরেজ শাসনামলে নীলকুঠির সাহেবরা ইংরেজিতে এ স্থানকে চান্দিনা বলে লিপিবদ্ধ করে। সে থেকেই চান্দিনা নামককরণ হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ গ্রামীণ স্থাণীয় সরকার ব্যবস্থার মধ্যম পর্যায়ের স্তর। উপজেলা পরিষদের উপরে জেলা পরিষদ নিচে ইউনিয়ন পরিষদ এবং সমান্তরালে কোথাও কোথাও পৌরসভা রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে পূর্বতন থানা বা নবগঠিত উপজেলার যাত্রা ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি। তা‘ছাড়া আইনী কাঠামো, সাংগঠনিক কাঠামো, আন্তঃ প্রতিষ্ঠান মিথক্রিয়া, সেবাদান পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া অন্য সকল প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু স্বতন্ত্র। তাই উপজেলা পরিষদের এ নবযাত্রায় এর আইনগত কাঠামো, অবস্থান, আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং তার সাথে যুক্ত এই প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক কাঠামো, সর্বোপরি আইন ও প্রশাসনের মিথস্ক্রিয়ার সার্বিক অবস্থার উপর একটি সামদগ্রিক ধারণা থাকা দরকার।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস